আম খাওয়ার উপকারিতা - AjkerStatus

আম খাওয়ার উপকারিতা
আম খাওয়ার উপকারিতা

আম খাওয়ার উপকারিতা (Aam er upokarita) পোষ্টে আপনাদের স্বাগতম। আমকে ফলের রাজা বলা হয়। আমাদের দেশে আমের মৌসুমে প্রচুর পরিমানে আম উৎপাদিত হয়। আমের আনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আমদের প্রত্যেকের জানা উচিৎ আম খেলে কি হয়। আজকের পোষ্টে আমের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিতা আলোচনা করবো। 

আমের নাম শুনলেই জিহ্বায় পানি আসেনা এমন মানুষের দেখা পাওয়া অনেক কঠিন। আর আমের স্বাদের কথা কি বলব? কোন কোন মানুষ তো ১ ডিগ্রি উপরে গিয়ে বলে ফেলেন আমকেই দেশের জাতীয় ফল হিসেবে ঘোষণা করে দিতে। কাঁচা আম যেমন রান্না করে খেতে মজা, তেমনই মধময় পাকা আমের স্বাদ। তবে মধুময় ফলটি শুধু স্বাদে নয় গুনেও অনন্য।

আমের অনেক স্বাস্থ্য উপকারীতা রয়েছে। কাঁচা পাকা আমের পাশাপাশি এই গাছের পাতারও আছে বেশ কিছু গুনাগুন। তাহেল আসুন জেনে নেই আমের কি কি উপকারিতা:

আমের উপকারিতা

১। আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন সহ প্রোস্টেট ক্যান্সারকেও প্রতিরোধে আম সহায়তা করে থাকে। এতে প্রচুর এনজাইমও পাওয়া যায়।

২। অনেকেই বলেন যে আম খেলে ওজন বাড়ে। তা হয়তো কিছুটা বাড়তেই পারে! তবে ওজন বাড়ানোর জন্য খেতে হবে বেশি পরিমানে আম। মজার ব্যাপার হল আম খেলে ওজন বাড়লেও কোলেস্টোরল কমে যায়। আমে আছে উচ্চ পরিমানে ভিটামিন সি, সেই সাথে আরো আছে ফাইবার ও ফলের শাঁস যা সিরাম কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টরল যেমন কম ঘনত্বের লাইপোপ্রটিন এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

৩। সেই সাথে ত্বকের যত্নেও অনেক উপকারি এই সুস্বাধু ফলটি। আম, ভেতর ও বাইরে থেকে উভয়ভাবেই ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম, ফলে ব্রনের সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পেতে পারি।

৪। আম চোখের জন্যও অনেক উপকারী। আপনি কি জানেন যে, এক কাপ আম আপনার দৈনন্দিনের ভিটামিন "এ" এর চাহিদার প্রায় 25 শতাংশের যোগান দিতে পারে? ভিটামিন “এ” চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ হওয়া থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।

সেই সাথে এই ফলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড যা শরীরে অ্যালকালাই বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে অনেকাংশেই।

৫। মজার কথা হলো আম খেলে ডায়াবেটিকস রোগীদের সুগার বেড়ে যাবার প্রবণতা থাকলেও আম গাছের পাতা কিন্তু রক্তে চিনির পরিমান কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য কিছু আম পাতা নিয়ে ভাল করে পানিতে জ্বাল দিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে এই পানি পান করুন। ব্যাস এইটুকুই সাহায্য করবে রক্তে চিনির পরিমান ঠিক রাখতে।

৬। অনেকের এই ধারনা আছে যে, ফলমূলের মাঝে শুধুমাত্র পেঁপেই হজমশক্তির জন্য ভাল। কিন্তু না, পেঁপের মত আমেও আছে প্রয়োজনীয় এনজাইম যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

৭। এছাড়াও আমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। সেই সাথে আছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।

শুধু স্বাদেই মজাদার নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী আমাদের এই প্রিয় ফল আম। কাঁচা বা পাকা সব রকমের আম আপনাকে দিবে স্বাদের পাশাপাশি সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা। তবে এর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে বুঝে শুনে। না হলে ভালোর থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি হবে। 

আশা করি, আম খাওয়ার উপকারিতা কি কি জানতে পেরেছেন। যদি আমাদের বাংলা ব্লগ সাইটটি ভালো লাগে তাহলে বুকমার্ক করে রাখুন। 

Previous Post Next Post